<ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর পিসতুতো ভাই শ্রীঅর্জুনকে বলেছেন >
#
#
যক্ষদের ও রাক্ষসদের মধ্যে আমি কুবের !
#
যক্ষ
প্রকৃতি-আত্মাদের বিস্তৃত শ্রেণী
সাধারণত কল্যাণকর
কিন্তু কখনও কখনও দুষ্ট
বা কৌতুকপূর্ণ !
জল, উর্বরতা, গাছ, বন, ধন এবং প্রান্তরের সাথে তারা যুক্ত।
তারা হিন্দু, জৈন ও বৌদ্ধ গ্রন্থে
সেইসাথে
দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার
প্রাচীন ও মধ্যযুগের মন্দিরগুলিতে
অভিভাবক দেবতা হিসেবে
আবির্ভূত হতেন !
যক্ষ
প্রেতযোনিবিশেষ !
স্ত্রীযক্ষ যক্ষিণী।
#
রাক্ষস
হিন্দু পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী
একপ্রকার মানুষরূপী মাংসভুক প্রাণী।
রাক্ষসরা পরবর্তীকালে বৌদ্ধ পুরাণে স্থান লাভ করে।
রাক্ষসদের দ্বারা মানুষ ভক্ষণ করার কথাও বলা আছে !
স্ত্রী রাক্ষসকে রাক্ষসী বলা হয়।
রাক্ষসরা আবার ভীষণদর্শনও হয় !
কখনো কখনো অসুর এবং রাক্ষস
একইরূপে আখ্যায়িত হয়।
#
কুবের।
হিন্দুধর্মে
কুবের
ধনসম্পদের দেবতা।
কুবের
যক্ষনামক উপদেবতাদের রাজা।
কুবের উত্তর দিকের রক্ষক
অর্থাৎ উত্তর দিকের লোকপাল।
#
#
কুবের ( উইকিপিডিয়া থেকে )
(ধনসম্পদের দেবতা ও যক্ষ নামক উপদেবতাদের রাজা।[১] তিনি উত্তর দিকের রক্ষক (দিকপাল) ও পৃথিবীর অন্যতম রক্ষাকর্তা (লোকপাল) দেবতা হিসেবে পূজিত। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে কুবেরকে বিভিন্ন ধরনের উপদেবতার অধিপতি ও বিশ্বের ধনাধ্যক্ষ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। শাস্ত্রীয় বর্ণনা অনুযায়ী, কুবেরের উদর স্ফীত, দেহ নানা অলংকারে শোভিত এবং হাতে একটি রত্ন-পেটিকা ও গদা দেখা যায়।
বেদে কুবেরকে অশুভ আত্মাদের অধিপতি বলে বর্ণনা করা হয়েছে। পরবর্তীকালে রামায়ণ, মহাভারত ও পৌরাণিক সাহিত্যেই তিনি প্রথম দেবতার মর্যাদা লাভ করেন। পৌরাণিক উপাখ্যান অনুযায়ী, লঙ্কার রাজা কুবের বৈমাত্রেয় ভ্রাতা রাবণ কর্তৃক রাজ্যচ্যূত হয়ে হিমালয়ের অলকাপুরীতে চলে আসেন। অলকাপুরীর গৌরব ও ঐশ্বর্যের বর্ণনা অনেক শাস্ত্রেই পাওয়া যায়।
বৌদ্ধ ও জৈনরাও কুবেরকে তাদের দেবমণ্ডলীর অন্তর্গত করে নিয়েছিল। বৌদ্ধধর্মে তিনি বৈশ্রবণ নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, হিন্দুধর্মে ঋষি বিশ্রবার পুত্র হিসেবে তিনি বৈশ্রবণ নামে পরিচিত। বৌদ্ধরা কুবের ও পঞ্চিককে একই দেবতা মনে করে। অন্যদিকে জৈনধর্মে তিনি সর্বানুভূতি নামে পরিচিত।
#
No comments:
Post a Comment