সুখে আছি
দরকার নেই
তবু রাত সাড়েএগারোটা পর্যন্ত
বারান্দার আলো জ্বলছে।
শীতের রাতে
চাদর মুড়ি দিয়ে
আমার সখের গিন্নি
ঘরের ভেতরে
দরজা-জানলা বন্ধ করে
রাতের টিভি দেখছেন।
ইলেকট্রিকের মিটার ঘুরছে
বিল বাড়ছে
আমার পকেট ফাটছে।
আমার গিন্নিতো
আসলে আমার কাছে
মনে হয়
পরকীয়া !
চলনে-বলনে
কথাবার্তায় তাই।
পরজীবী
স্বামীজীবী !
অথচ বচনে বাচস্পতি
শঠ বুদ্ধিতে বৃহস্পতি !
পরস্মৈপদীতে ওস্তাদ
আত্মনেপদী শেখেননি।
খাদ্য প্রস্তুতে উদ্ভিদ।
নিজের খাদ্য
নিজেই তৈরী করেন।
মেনু তাঁর মনোমত।
আমাকে জিজ্ঞাসাও করেন না।
মতামতও নেন না।
প্রয়োজনও বোধ করেন না।
তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যে
আমার ভাগ্যে
ছিটেফোঁটা জোটে।
তাই নিয়ে আমায়
সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
কি কুক্ষণে
নিজের আঁচল দিয়ে
আমার গাঁটছড়ায় বেঁধে
আমায় নিয়ে
উধাও হওয়ার বদলে
ধুলো পায়ে
আমারই বাড়ি এসে
লজ্জাহীন হ্যাংলাপনায়
আর হিংসাপনায়
আমার জীবনে
গেঁথে বসেছেন !
'ন' অক্ষর
ভালোভাবেই শিখেছেন।
'দ' অক্ষর
একদম চেনেন নি !
সব কিছুই তাঁর।
ছেলে-মেয়ে নাতি-নাতনি
শ্বশুর-শাশুড়ি
চেয়ার-টেবিল
বাক্স-বিছানা
মায় আমি পর্যন্তও।
আমি উদোম হাওয়ায়
ল্যাংটো হয়ে
ভেসে বেড়াই
গালমন্দ খাই।
তবু... সুখে আছি।
সংসারে
সুখে আছি।
বিবাগিতেও
সুখে আছি।
শালীনতায় সুখে আছি
সম্ভ্রমেও সুখে আছি।
শান্তি বজায় রাখতে
তাই বলতে হয়।
পাঁচজনকেও
তাই বলি।
ওঁর মনের অমিলেও
সুখে আছি
মলিনেও সুখে আছি।
মিলনেও সুখে আছি !
No comments:
Post a Comment